পরকীয়ার জেরে স্বামী আজহার উদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচিত বৃদ্ধ ইমাম আবদুর রহমান ও আসমা আক্তার। রাজধানীর দক্ষিণখানের একটি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুর রহমানের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন আসমা আক্তার (২৬)।
ইমাম ও আসমার পরিকল্পনা অনুযায়ী সাত টুকরা হতে হয়েছে আজাহারকে। ইমাম ও আসমার পরিকল্পনায় সফল হলে চতুর্থবারের মতো সংসার বাঁধতেন আসমা।
ইমাম আবদুর রহমানের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। ৩৩ বছর ধরে দক্ষিণখান এলাকার মসজিদে নামাজ পড়াচ্ছেন।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আবদুর রহমান বলেন, আসমাকে তিনি প্রচণ্ড ভালোবেসে ফেলেছিলেন। তার কথা রাখতে গিয়ে আজহারকে হত্যা করেছেন। তা না হলে আসমা নিজেই আজহারকে হত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন। নিজেও মরবেন এবং ইমামা আবদুর রহমানকে মারবেন।
জিজ্ঞাসাবাদে আসমা র্যাবকে জানায়, স্বামী আজহারের আচার-আচরণ তার ভালো লাগছিল না। এ কারণে তিনি পরকীয়ায় জড়ান। আজাহারকে সরিয়ে ইমামের সঙ্গে ঘর বাঁধবেন তিনি।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত রমজানের আগেই আজহারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তারা। প্রথমে ভাড়াটে খুনির কথা ভাবা হয়। পরে আবদুর রহমান নিজেই হত্যার দায়িত্ব নেন। সে অনুযায়ী গত ১৯ মে তিনি আজহারকে ডেকে এনে হত্যা করে লাশ সাত টুকরা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। এরপর সব ধুয়েমুছে মসজিদে নামাজ পড়ান। ধরা পড়ার আগ পর্যন্ত তিনি চার দিন নামাজ পড়ান। এ সময় নামাজে প্রতিবারই তিনি ভুল করেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, “আবদুর রহমান ও আসমার বিয়ে করার কথা ছিল। আজহারকে হত্যা করতে দু’জন পরিকল্পনা করেন বলে তারা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।”